পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা মানুষের একটি অধিকার, বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার ঢাকায় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে, যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত।। এসব বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী নিয়মনীতি দ্বারা পরিচালিত। ছাত্র বেতন বাবদ কিছু টাকা আসলেও মূলত ভর্তূকি দিয়ে সরকার এসব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে।
===============================================================

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটি তুলনামূলকভাবে নতুন। অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বর্ধিত চাহিদা মেটাতে না পারায় সরকার বেসরকারী বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়। কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করে বেশ প্রশংসিতও হচ্ছে।
===============================================================
মেডিকেল কলেজ
ছোট থেকেই অনেকে স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। আবার অনেক (অধিকাংশ বললেও হয়ত অত্যুক্তি হবে না) বাবা-মার স্বপ্ন থাকে সন্তানকে চিকিৎসক বানাবেন। চিকিৎসক তৈরির প্রতিষ্ঠান হলে মেডিকেল কলেজ। চিকিৎসক হওয়ার জন্য মানুষের এতই আগ্রহ যে সরকারী মেডিকেল কলেজগুলো তার চাপ সামলাতে পারছিল না। ঢাকায় তিনটি সরকারী মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি নতুন-পুরাতন মিলিয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এককভাবে একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ছাত্র ভর্তি করা হয়।
===============================================================
ডেন্টাল কলেজ
মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগব্যাধির বিষয়টি দেখেন এম.বি.বি.এস. চিকিৎসকগণ, অবস্থা জটিল হলে রোগীগণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দারস্থ হন। তারাও এম.বি.বি.এস. কোর্সের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। দাঁতের বিষয়টি দেখেন দন্ত বিশেষজ্ঞ। এমবিবিএস কোর্স নয় ডেন্টাল কলেজের বিডিএস কোর্সের মাধ্যমে দন্ত বিশেষজ্ঞ তৈরি হয়।  মিরপুরের সরকারী ডেন্টাল কলেজ ছাড়াও ঢাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারী ডেন্টাল কলেজ আছে এখন।
===============================================================
বিদেশে উচ্চ শিক্ষা
উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ঢাকায় সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে বেশ অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৮ টি। আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। সরকারী মেডিকেল কলজে আছে ৩ টি আর বেসরকারী মেডিকেল কলেজের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,  ডেন্টাল কলেজসহ আরও বিভিন্ন ধরনের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীগণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় আসেন। আর বিভিন্ন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোও ঢাকায় তাদের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য লিয়াজো অফিস স্থাপন করেছেন। অপরদিকে এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্মগুলো বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে প্রয়োজনীয় লজিষ্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে।
===============================================================
কলেজ
মাধ্যমিক পরাবর্তী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়াশোনা এবং উচ্চমাধ্যমিক পরবর্তী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য ঢাকার সরকারী এবং বেসরকারী কলেজগুলোর তথ্য থাকছে এ অংশে। উচমাধ্যমিক পার্যায়ের পড়াশোনা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে আর উচ্চমাধ্যমিক পরবর্তী কোর্সগুলো নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কোর্সটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে।
===============================================================
স্কলারশীপ
শিক্ষা মানুষের অধিকার হলেও আর্থিক বাস্তবতায় সবার পক্ষে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদশ সরকারের বৃত্তি ছাড়াও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও দাতব্য সংস্থার বৃত্তি রয়েছে। আবার উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নও দেখেন অনেকে। কিন্তু বিদেশে পড়াশোনার যোগ্যতা অর্জন করলেও আর্থিক কারণে সবার পক্ষে বিদেশে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকার ও সংস্থা সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। এসব বৃত্তির আওতায় কেবল পড়াশোনার খরচ নয়, অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য খরচও দেয়া হয়। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তির খবর থাকছে এ বিভাগে।
===============================================================
কারিগরী শিক্ষা
শিল্প প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করে অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য কারগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। আবার দেশের বাইরেও অদক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে খুব বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায় না। এক্ষেত্রেও দক্ষ জনশক্তি তৈরি তৈরির জন্য কারিগরি শিক্ষা জরুরি। ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী কারগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যাবে এখানে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। অবশ্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল তাদের একটি সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে, কোন বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফিলিয়েশন নেই এদের।
===============================================================
শিক্ষা বোর্ড
বাংলাদেশে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের জন্য সাতটি শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মাদ্রাসা সমূহের দাখিল, আলিম, ফাজিল এবং কামিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি এবং এইচএসসি সমতূল্য কোর্স পরিচালিত হয়। সারাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকি এই দুই বোর্ডের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে থাকে। কাজেই ঢাকায় মোট তিনটি শিক্ষা বোর্ডের দপ্তর অবস্থিত।
===============================================================
স্কুল
কথা বলা শেখার পর সন্তানের শিক্ষা জীবন শুরু করতে ঢাকার কর্মব্যস্ত অভিভাবকগণ চিন্তিত হয়ে পড়েন কেমন করে কোথায় ভর্তি করাবেন আদরের সন্তানটিকে। এ লক্ষ্যে খোঁজ নিতে হয় ঢাকার বিভিন্ন স্কুল গুলোর ফরম সংগ্রহ পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, স্কুলের মান, স্কুলের পরিবেশ সস্পর্কে। কিন্তু কর্মব্যস্ততার মাঝে অনেক অভিভাবকগণই সময় করে উঠতে পারেন না। ফলে কর্মব্যস্ত অভিভাবকগণ অনায়াসে অন লাইন ঢাকা গাইড থেকে ঢাকার স্কুলগুলোর সম্পর্কে সহজেই তথ্য পেতে পারেন।
===============================================================
লাইব্রেরী
স্কুলে পড়াশোনা না করলেও টমাস আলভা এডিসন বাল্যকালেই তাঁর পাড়ার লাইব্রেরীর সব বই পড়ে শেষ করেছিলেন। হয়ত একারণেই তিনি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকে পরিণত হয়েছিলেন। জ্ঞানের পরিপূর্ণ বিকাশে গ্রন্থাগার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। সারাদেশেই লাইব্রেরী আছে, তবে মূলত ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করেই বড় লাইব্রেরীগুলো গড়ে উঠেছে। তাছাড়া বিশেষ প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীও রয়েছে যেমন- ব্যান্ডসডক লাইব্রেরি, পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, বাংলা একাডেমী, এশিয়াটিক সোসাইটি লাইব্রেরি। বৃটিশ কাউন্সিল, আমেরিকান কালচারাল সেন্টার, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী সংস্থার লাইব্রেরীও আছে এ শহরে। আর সবার কাছে পরিচিত পাবলিক লাইব্রেরিতো রয়েছেই।
===============================================================
সাংস্কৃতিক জগৎ
মানসিক প্রশান্তি বা নেহাত বিনোদনের জন্য এক সময় সংগীত ও চারুকলার প্রতি মানুষের আসক্তি ছিল। সময় বদলেছে বর্তমানে জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ সংগীত ও চারুকলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। সংগীত ও চারুকলা নিপুণভাবে আয়ত্ত করার জন্য মহানগরীতে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট, ছায়ানট, নজরুল একাডেমী, সংগীত কলেজ, বুলবুল ললিত কলা একাডেমী এবং শিশু একাডেমী। এছাড়া পাড়া মহল্লা বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন স্কুলে গড়ে উঠেছে সংগীত ও চারুকলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। নিজস্ব চেষ্টা, পরিশ্রম আর সাধনার গুণে শুধু দেশেই নয় বহি:বিশ্বে সুনাম অর্জন করা যা এই সংগীত ও চারুকলার অঙ্গনে।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন